লিচু উৎপাদনে বিষাক্ত কীটনাশকের বদলে কাইটোসান সলিউশন ব্যবহারে সফলতা
আম-আনারসের পর এবার লিচু উৎপাদনেও বিষাক্ত কীটনাশকের বদলে কাইটোসান সলিউশন ব্যবহার করে সফলতা এসেছে। চিংড়ির খোসা থেকে তৈরি এই তরল উদ্ভাবনের পরই ফসল উৎপাদন ও খাদ্য সংরক্ষণে সফলতা পান উদ্ভাবক ড. মুবারক আহমদ খান। ক্ষতিকর রাসায়নিকের এই নতুন বিকল্প উৎপাদনে কেউ বাণিজ্যিক ভাবে এগিয়ে আসলে সহায়তার আশ্বাসও দেন এই বিজ্ঞানী।
বিভিন্ন কাজে কাইটোসান সলিউশনের ব্যবহার নতুন কিছু নয়। তবে বাংলাদেশে উদ্ভাবিত এই তরলের বিশেষত্ব হল, এতে কোনো রাসায়নিক নেই। চিংড়ির ফেলনা খোসা দিয়ে তৈরি হওয়ায়, উৎপাদন খরচও নামমাত্র। ৫/৬ কেজি খোসায় পাওয়া যায়, ১ কেজি কাইটোসান। অথচ পাশের দেশ ভারতে রাসায়নিক দিয়ে তৈরি কাইটোসানের কেজি প্রায় লাখ টাকা।
দেশীয়ভাবে উদ্ভাবিত এই তরল ফরমালিনের বিকল্প হিসেবে শাক-সবজি-ফলমূল-মাছ সংরক্ষণে ব্যবহার করে মেলে সফলতা। আনারস এবং আমের উৎপাদনেও আসে সাফল্য। এতে টক আমে মিষ্টি স্বাদ আসার প্রমাণও পান গবেষকরা।
দিনাজপুরে হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে এই তরল প্রয়োগ করা হয়েছে, লিচু উৎপাদনে। কোনো রকম সার-কিটনাশক কিংবা গ্রোথ হরমোন ছাড়াই শুধু কাইটোসান ব্যবহারে ফলন যেমন বেড়েছে, আকারও হয়েছে বড়, স্বাদে এসেছে বাড়তি মিষ্টতা।
গবেষক দলের প্রধান বলছেন, কাইটোসান ব্যবহারে উৎপাদন খরচ কমেছে অভাবনীয়ভাবে।
দেশীয় উপায়ে কাইটোসানের উদ্ভাবক জানান, ইতোমধ্যে মেধাসত্ত্ব পেয়েছেন তারা। এখন কেউ বাণিজ্যিক উৎপাদনে এগিয়ে আসলে, করা হবে সবরকম সহায়তা।
প্রাণিজ উপাদানে তৈরি হওয়ায় এই তরল মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর নয় বলেও দাবি এ বিজ্ঞানীর।
তথ্যসূত্রঃ চ্যানেল 24, ২০ জুন, ২০২০